কম্পিউটারে কীবোর্ড কী? এর ব্যবহার এবং কার্যকারীতা
কীবাের্ড
(Keyboard): কীবাের্ড
কম্পিউটারের একটি প্রধান ইনপুট ডিভাইস। কীবাের্ড এর দ্বারা কম্পিউটারে
বিভিন্ন তথ্য বা নির্দেশ পাঠানাে
যায়। প্রত্যেকটি কী বোর্ডের কী
এর সংখ্যা এক-একরকম হয়।
তবে সাধারণত কীবাের্ড এ ১০৫ থেকে
১১২টি কী থাকে। কীবোর্ডটি
দেখতে অনেকটা টাইপরাইটারের মতাে এবং এর কী-গুলিও
টাইপ রাইটারের মতাে সাজানাে থাকে। তবে কীবাের্ড অনেক অতিরিক্ত কী থাকে যেগুলি
কম্পিউটারেকে বিশেষ বিশেষ নির্দেশ দিতে ব্যবহার করা হয়।
কীবোর্ড এর বৈশিষ্ট্যঃ
·
কম্পিউটারে ডেটা প্রদান করার জন্য কীবোর্ড ব্যবহার করা হয়। তাই একে ইনপুট ডিভাইস বলা হয়।
·
এটি আয়তাকার, চ্যাপটা আকৃতির। এতে অনেকগুলি বাটন রয়েছে যেগুলিকে ইংরেজিতে ‘KEY বলা হয়।
·
একটি কীবাের্ড এর মধ্যে রয়েছে, লেটার-কী”, “নিউমেরিককী, স্পেশ্যাল ক্যারেক্টার-কী এবং ‘কন্ট্রোল-কী।
কীবোর্ড কত প্রকার ও কী কী?
কম্পিউটার কীবাের্ড এর কার্যকারিতা অনুযায়ী এই কীগুলিকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায় – ১) অ্যালফা নিউমেরিক কী ২) ফাংশান কী (F1-F12) ৩) কারসার মুভমেন্ট কী এবং ৪) স্পেশাল ক্যারেক্টার কী
অ্যালফা নিউমেরিক কীঃ
এই কী গুলির দ্বারা আমরা ইংরেজী হরফ (A-Z )ও 0-9 সংখ্যাগুলি টাইপ করতে পারি। যেমন : ROLL NO, BO003 টাইপ করতে এই কী ব্যবহার করা হয়।
ফাংশান কী (F1-F12)
বিভিন্ন সফটওয়্যারে এই কীগুলির প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রকার কাজ করা যায়। যেহেতু এরা সফটওয়্যার নির্ভর তাই এদের সফট কী বলা যেমন : FI কী সাধারণত Help এর জন্য। আবার F5 কী Windows Memory-কে Refresh করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
কারসার মুভমেন্ট কী
রাইট ও লেফট অ্যারো এবং আপ ও ভাউন আরো এই চারটি কী-কে একত্রে মুভমেন্ট কী বলা হয়। এই কীগুলি দ্বারা ডান-বাম দিক, উপরে-নিচে কারসারকে মুভমেন্ট করা যায়।
স্পেশাল ক্যারেক্টার কী
কীবাের্ড এর কতকগুলি কী বিশেষ কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়। তাই এই কী-গুলিকে স্পেশাল কী বলে। স্পেশাল কী ক্যারেক্টার কী-এর অক্ষরগুলি হল :
গাণিতিক চিহ্ন – [ +, – , = ,*,/ ,%]
যতি চিহ্ন – [.; ?’ ‘:” !.]
অন্যান্য বিশেষ চিহ্ন – [@ # $ ^ & () ইত্যাদি]
কীবোর্ড এর স্পেশাল কী-গুলির নাম ও তাদের কাজ সম্বন্ধে বর্ণনা করা হল
ক্যাপস লক [Caps Lock] : ক্যাপস লক কী ব্যবহার করে বড় হাতের অক্ষর টাইপ করতে পারি। যেমন COMPUTER, আবার এই কী অফ থাকলে ছােট হাতের অক্ষর টাইপ করা যায়। যেমন computer.
শিফট [Shift]: শিফট [Shift] কী ব্যবহার করে বড় হাতের অক্ষর ও কী-বাের্ডের উপরের অক্ষরগুলি টাইপ করা যায়। যেমন— A, B, C…. @, #,
$, ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন সময় সিলেকশনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
ডিলিট [Delete] : ডিলিট [Delete] কী ব্যবহার করে যে-কোনাে অক্ষর মােছা যায়।
এসকেপ [Escape] : এসকেপ [Escape] কী ব্যবহার করে কোনাে কাজকে বাতিল বা Cancel করা যায়।
ট্যাব [Tab] : ট্যাব [Tab] কী ব্যবহার করে কারসারকে নির্দিষ্ট অক্ষর পর্যন্ত জাম্প করানাে বা নির্দিষ্ট দূরত্বে সরানাে যায়।
কন্ট্রোল [Ctrl] : কন্ট্রোল [Ctrl] কী অন্য কী-এর সঙ্গে বিশেষ কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। যেমন- Ctrl+S দ্বারা ফাইলকে সেভ করা হয়। Ctrl কী চেপে নিদৃষ্ট জায়গা সিলেক্ট করা যায়।
অল্টার [Alt] :অল্টার [Alt] কী অন্য কী-এর সঙ্গে বিশেষ অপারেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। একত্রে প্রেস করে কম্পিউটারকে পুনরায় স্টার্ট করা যায়।
স্পেসবার [ Space bar]
: স্পেসবার [ Space bar] কী দুটি অক্ষর বা শব্দের মাঝে ব্যবধান সৃষ্টি করতে ব্যবহৃত হয়। যেমন- Agomnoni Barta |
এন্টার [Enter]: এন্টার [Enter] কী কারসারকে পরবর্তী লাইনে যেতে অথবা কোনাে কমান্ড লিখে কার্যকর করতে ব্যবহৃত হয়।
ব্যাকস্পেস [Back Space]
: ব্যাকস্পেস [Back Space] কী ব্যবহার করে ডান দিক থেকে বামদিকের অক্ষরগুলি পরপর মুছে ফেলা যায়।
নামলক [Num Lock]: নামলক [Num Lock] কী ব্যবহার করে শূন্য থেকে নয় (0-9) পর্যন্ত সংখ্যাকে টাইপ করা যায়। এই কী অফ থাকলে আমরা নিচের ফাংশানগুলিকে কাজ করাতে পারি। যেমন লেফট অ্যারাে (), রাইট অ্যারাে () ইত্যাদি।
হােম [Home]: হােম [Home] কী ব্যবহার করে আমরা কারসারকে লাইনের প্রথম অক্ষরে নিয়ে যেতে পারি।
এন্ড [End]: এন্ড [End] কী ব্যবহার করে আমরা কারসারকে কোনাে লাইনের শেষ অক্ষরে নিয়ে যেতে পারি।
ইনসার্ট [Insert]: ইনসার্ট [Insert] কী ব্যবহার করে আমরা দুটি অক্ষরের মাঝে নতুন কোনাে অক্ষর ঢােকাতে পারি।
প্রিন্ট স্ক্রীন [Print Scr]
: প্রিন্ট স্ক্রীন [Print Scr] কী ব্যবহার করে মনিটরে দৃশ্যমান অংশটি সরাসরি প্রিন্টারে ছাপতে পারি।
পস/ব্রেক [Pause] : এই কী ব্যবহার করে কম্পিউটারের যে-কোনাে কাজকে হঠাৎ থামিয়ে দিতে পারি।
পেজ আপ (Page Up) : পেজ আপ (Page Up) কী ব্যবহার করে কার্সরকে উপরের দিকে উঠানো হয়।
পেজ ডাউন (Page Down) : পেজ ডাউন (Page Down) কী ব্যবহার করে কার্সরকে নিচের দিকে নামানো হয়।
মাল্টিমিডিয়া কী
এছাড়া মাল্টিমিডিয়া কীবোর্ড এ আরও ৪ টি কী থাকেঃ
·
Stand by Mood: এই কী চেপে রাখলে কম্পিউটার চালু থাকবে কিন্তু মনিটর বন্ধ হয়ে যাবে।
·
Mail key : এই কী চেপে আউটলুক এক্সপ্রেস চালু হয় এবং তা দিয়ে মেইল পাঠানো যায়। তবে ইন্টারনেট চালু থাকতে হবে।
·
Web key : এই কী ব্যবহার করে সরাসরি ওয়েব ব্রাউজার ওপেন করা যায়। এবং ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়।
·
Start Menu key: এই কী চেপে ষ্ট্যাট মেনু ওপেন করা যায় এবং প্রয়োজনীয় কমান্ড করা যায়।
কম্পিউটার কীবোর্ড শর্টকার্ট কী টেকনিক
01. F1: সাহায্য (Help)
02. CTRL+ESC: Start menu চালু
03. ALT+TAB: চালু করা প্রোগ্রামগুলো থেকে বাছাই
04. ALT+F4: প্রোগ্রম বন্ধ করা
05. SHIFT+DELETE: সরাসরি ফাইল ডিলিট করা
06. Windows Logo+L: কম্পিউটার লক করা
07. CTRL+C: কপি
08. CTRL+X: কাট
09. CTRL+V: পেস্ট
10. CTRL+Z: আনডু
11. CTRL+B: অক্ষর বোল্ড করা
12. CTRL+U: অক্ষর আন্ডারলাইন করা
13. CTRL+I: অক্ষর ইটালিক করা
14. SHIFT+right click: অতিরিক্ত শর্টকাট সহ মেনু
15. SHIFT+double click: বিকল্প ডিফল্ট কমান্ড ।
16. ALT+double click: প্রোপার্টিজ প্রদর্শন
17. F10: মেনু বার চালু করা;
18. SHIFT+F10: নির্বাচিত আইটেমের জন্যে শর্টকাট মেনু;
19. CTRL+SHIFT+ESC: টাস্ক ম্যানেজার;
20. ALT+DOWN ARROW: ড্রপ ডাউন মেনু খোলা;
21. ALT+TAB: অন্য কোনো চালু করা প্রোগ্রামে যাওয়া ( সবগূলো প্রোগ্রাম দেখতে ALT চেপে ধরে TAB চাপুন );
22. SHIFT: অটোরান বন্ধ করতে এটি চেপে ধরে রাখুন;
23. ALT+SPACE: মেইন উইন্ডো’র সিস্টেম মেনু দেখা;
24. CTRL+TAB: কোনো প্রোগ্রামের এক উইন্ডো থেকে অন্য উইন্ডোতে যাওয়া;
25. ALT+আন্ডারলাইন কৃত অক্ষরঃ নির্দিষ্ট মেনুতে যাওয়া;
26. ALT+F4: বর্তমান উইন্ডো বন্ধ করা;
27. CTRL+F4: একাধিক ডকুমেন্ট ইন্টারফেসসহ কোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করা;
28. F2: নির্বাচিত ফাইল রিনেইম করা;
29. F3: ফাইল খোঁজা
30. F4: অন্য কোনো ফোল্ডারে ফাইল মুভ করা
31. F5: বর্তমান উইন্ডো রিফ্রেশ করা
32. CTRL+A: ফোল্ডারের সবগুলো আইটেম নির্বাচন করা
33. BACKSPACE: পুর্ববর্তি ফোল্ডারে যাওয়া (ইন্টারনেট ব্রাউজারের ক্ষেত্রে পুর্বের পেইজ)
34. Left ALT+left SHIFT +PRINT SCREEN: Toggles high contrast on and off;
35. Windows Logo: Start menu;
36. Windows Logo+M: সব প্রোগ্রাম মিনিমাইজ করা;
37. SHIFT+Windows Logo +M: মিনিমাইজ আনডু করা;
39. Windows Logo+E: Windows Explorer চালু করা;
40. Windows Logo+F: Files অথবা Folders খোঁজা;
41. Windows Logo+D: সব প্রোগ্রাম মিনিমাইজ করা;
42. Windows Logo+TAB: টাস্কবার চক্রাকারে দেখা;
43. Windows Logo+Break: System Properties ডায়ালগ বক্স চালু করা;
44. Application key: নির্বাচিত আইটেমের জন্যে শর্টকাট মেনু;
45. Windows Logo+L: উইন্ডোজ লগ অফ করা;
46. Windows Logo+P: প্রিন্ট ম্যানেজার চালু করা;
47. Windows Logo+C: কন্ট্রোল প্যানেল চালু করা;
48. Windows Logo+V: ক্লিপবোর্ড চালু করা;
49. Windows Logo+K: Keyboard Properties ডায়ালগ বক্স চালু করা;
50. Windows Logo+I: Mouse Properties ডায়ালগ
0 Comments