আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস

আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস



পরাধীন ভারতে জন্মগ্রহণ করেও যে কয়েকজন বিজ্ঞানী বিজ্ঞানচর্চায় ও বিজ্ঞান গবেষণায় আর্ন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস। অবিভক্ত ভারতবর্ষের (বর্তমান বাংলাদেশের) ঢাকা জেলার রাড়িখাল গ্রামে ১৮৫৮ খ্রীষ্টাব্দের ৩০ শে নভেম্বর তারিখে জগদীশচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন। জগদীশচন্দ্র বসুর মায়ের নাম ছিল বামাসুন্দরী দেবী।তাঁর বাবা ভগবান চন্দ্র বসু ছিলেন ফরিদপুরের ডেপুটি ম্যাজিষ্ট্রেট। সেই সময় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটদের সম্মান ও দাপটই ছিল আলাদা। ভগবানচন্দ্র বসু ছিলেন খুবই পরিশ্রমী এবং সাহসী ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি ছিলেন বজ্রের মত কঠিন অথচ দয়ালু এক পুরুষ। তিনি তার পাঁচ কন্যা ও একমাত্র পুত্র জগদীশচন্দ্র, সকলকেই সুশিক্ষিত করে তুলেছিলেন।

ভগবান চন্দ্র বসুর পরিবার শিক্ষায়, দীক্ষায়, আচার ব্যবহারে এবং বেশভূষায় ছিল পাশ্চাত্যঘেঁষা। সেজন্য জগদীশচন্দ্রের বাল্যকাল আর পাঁচটা সাধারণ ছেলেদের মতন অতিবাহিত হয়নি। ঘরে সবসময় হাজির থাকত চাকরের দল। তাদের সঙ্গেই বেশীর ভাগ সময় কাটতো বালক জগদীশচন্দ্রের। তবে ছোটবেলা থেকেই নানান বিষয়ে কৌতূহল ও প্রচন্ড আগ্রহ ছিল তার। বালক জগদীশচন্দ্র তার বাবাকে অবিশ্রান্ত প্রশ্ন করে নাজেহাল করে দিতেন। পোশাকে ও আচার ব্যবহারে ভগবানচন্দ্র বসু পাশ্চাত্ত্যঘেঁষা হলেও তিনি চেয়েছিলেন যে বালক জগদীশচন্দ্র বাল্যকাল থেকেই নিজের দেশের মানুষদের সাথে ভাল করে মেলামেশা করতে শিখুক। সেইজন্য জগদীশচন্দ্রর যখন মাত্র পাঁচ বছর বয়স তখন তাঁকে কোনও ইংরেজি স্কুলে ভর্তি না করে ফরিদপুরের এক বাংলা স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়। এই স্কুলে ধনী দরিদ্র হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের ছেলেরা পড়াশোনা করত। পরবর্তীকালে জগদীশচন্দ্র তার বাল্যকালের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে লিখেছিলেন যে ফরিদপুরের এই বাংলা স্কুলে, তাঁর বাবার এক চাপরাশির ছেলে এবং এক গরীব ধীবরের ছেলে তার সহপাঠী ও বন্ধু ছিল। তাছাড়া ওই স্কুলে ও ঘরে বালক জগদীশচন্দ্র তার টিফিন ও অন্যান্য খাবার গরীব বড়লোক সব বন্ধুদের সাথে সমান করে ভাগ করে খেতেন। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় যে জগদীশচন্দ্রের বাবা মা তাদের ছেলেকে নকল আভিজাত্যে শিক্ষিত করতে চাননি—তাঁরা চেয়েছিলেন যে তাদের ছেলে সাধারণ মানুষের ছেলেদের মতই বড় হোক। শুধু তাই নয়, ছেলেবেলায় জগদীশচন্দ্রকে ঘরে দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এক জেল ফেরত ডাকাতকে। কি করে সেই জেলফেরত দাগী আসামী বালক জগদীশচন্দ্রকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছিল সে কাহিনীটিও বেশ মজার। সেই কাহিনীটি এইরূপ- ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ভগবানচন্দ্রের তখন কর্মস্থল ছিল ফরিদপুরে। ফরিদপুরে তখন ছিল ছোট বড় নানা খাল বিল, নদী আর সবুজ গাছপালার সমারোহ। সেই সব ছোট বড় নদীতে বহু লোকই মাঝ ধরে তাদের জীবিকা নির্বাহ করত। তবে মাঝে মাঝে ডাকাত আর জলদস্যুর দলও ওইসব নদীতে গতিশীল নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়াত, আর সুযোগ পেলেই ওইসব জেলে ধীবরদের কাছ থেকে মাছ, মাছ ধরা জাল, টাকা, পয়সা সবকিছু কেড়ে নিত। একবার এক ডাকাত ওই রকম ডাকাতি করে ফেরার পর পুলিশের কাছে ধরা পড়ে এবং সেই ডাকাতের বিচারের ভার পরে ভগবানচন্দ্রের হাতে। বিচারে তার বেশ কিছুদিন জেল হয়। জেল খাটা শেষ হয়ে গেলে সেই ডাকাত নিজের গ্রামে ফিরে যায় এবং সৎপথে জীবিকা অর্জনের চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু জেলখাটা ডাকাতকে কে আর বিশ্বাস করে চাকরি দেবে। শেষমেশ সেই ডাকাত একদিন সশরীরে হাজির ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ভগবানচন্দ্ৰ বসুর অফিসে। ভগবানচন্দ্রকে সে বলে যে ডাকাতি ছেড়ে সে সৎপথে বাঁচতে চায় কিন্তু কেউ বিশ্বাস করে কোনও চাকরিই তাকে দিচ্ছে না। ডাকাতের সব কথা ভগবানচন্দ্র মন দিয়ে শুনলেন। তিনি তখন সেই ডাকাতকে ঘরে নিয়ে এলেন এবং তাকে বালক জগদীশচন্দ্রকে দেখাশোনার দায়িত্ব দিলেন।

বালক জগদীশচন্দ্র প্রতিদিনই ওই ডাকাতের সাথে স্কুল আসা যাওয়া করতে লাগলেন আর সেই ডাকাতও অবসর সময়ে জগদীশচন্দ্রকে তার আগেকার ডাকাতি করার সব ঘটনা শোনাত। এইভাবে কয়েকদিনের মধ্যেই সেই ডাকাত বালক জগদীশচন্দ্রের বন্ধুতে পরিণত হল। একবার এই ভাল হয়ে-যাওয়া ডাকাত ভগবানচন্দ্র ও তাঁর পরিবারের সকলকে ডাকাতির হাত থেকে রক্ষাও করেছিল। একবার ভগবানচন্দ্র ও তাঁর পরিবারের সব লোকজন এবং সেই ডাকাত নৌকা করে তাঁর নিজের গ্রাম রাঢ়ীখালে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ওই জলপথে অন্য একটি ডাকাতদের নৌকা তাদের পিছু নেয়। কিন্তু ভগবানচন্দ্রের কাছে উপকৃত সেই ডাকাতটি চিনতে পারে ওই ডাকাত দলটিকে। সে সঙ্গে সঙ্গে একটা লম্বা শিস দেয়—এই শিস-এর অর্থ সাধারণ লোক বুঝতে পারে না—কেবলমাত্র ডাকাতদলের লোকেরাই এই বিশেষ ধরণের শিস এর অর্থ বুঝতে পারে। ধাবমান সেই ডাকাত দলের লোকেরা ওই বিশেষ ধরণের শিস শুনে তাদের নৌকার গতিপথ পরিবর্তন করে অন্য দিকে চলে যায়। এইভাবে ওই পুরোনো ডাকাতটির দৌলতে ভগবানচন্দ্র ও তার পরিবারের সকলে নৌকায় ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল।

জগদীশচন্দ্র বসুর বাল্যকাল এক স্নেহময় পরিবারিক পরিবেশে অতিবাহিত হয়। মা-বাবার স্নেহ ভালোবাসা তো ছিলই তার উপর ছিল বয়স্কা ঠাকুরমার ভালোবাসা। ছেলেবেলা থেকেই জগদীশচন্দ্র যাতে ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে পারে সেজন্য তাকে নিয়মিত রামায়ণ মহাভারত মহাকাব্যের নানান ঘটনাবলী গল্পের আকারে শোনানো হত। রামায়ণ-মহাভারতের ঘটনাগুলি জগদীশচন্দ্রের মনে গভীর রেখাপাত করেছিল। মহাভারতের কর্ণ ছিলেন তাঁর কাছে আদর্শ নায়ক। দিদি স্বর্ণপ্রভাও খুব ভালবাসতেন ভাই জগদীশচন্দ্রকে। তাঁর কাছ থেকেও তিনি গ্রামীণ পরিবেশের প্রকৃতি বিষয়ক নানা পাঠ করেন। ফরিদপুরে সেই সময় গ্রামীণ মেলায় স্থানীয় কুটিরশিল্প দ্রব্য প্রদর্শনের, যাত্রা থিয়েটার কবিগানের ব্যবস্থা থাকত। বালক জগদীশচন্দ্রের মনে এইসব মেলা, যাত্রা কবিগান নানান বিষয়ে আগ্রহর সৃষ্টি করত। আবার বাল্যকাল থেকেই জগদীশচন্দ্র নিজের ঘোড়ায় চড়া, ক্যামেরায় ছবি তুলতে শেখা এইসবও শিখেছিলেন। 

 বীণা সুন্দরভাবে বাজাতেন-তিনি নিয়মিত সংগীতচর্চা করতেন। সি.ভি.রমনও সি.ভি.রমন তাঁর অধ্যাপক বাবার কাছ থেকে ছাত্রাস্থাতেই বিজ্ঞানের নানান খুব অল্প বয়সেই মায়ের কাছ থেকে বেহালা ও বীণা বাজাতে শিখেছিলেন। অবিষ্কারের কথা শুনতেন। তাছাড়া অধ্যাপক আয়ারের ঘরেই ছিল বিজ্ঞান বইয়ের বিশাল ভাণ্ডার। স্কুলের ছাত্র থাকাকালীন সি.ভি.রমন অবসর সময়ে এই সব বই ঘাঁটতেন—সেজন্য ছেলেবেলাতেই তিনি বিভিন্ন বিজ্ঞানী যেমন . উটন, ফ্যারাডে, হেলমোস প্রভৃতিদের বৈজ্ঞানিক কাজকর্ম সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণাও লাভ করেন এবং পদার্থ বিজ্ঞানের নানান বিষয়ে তার প্রবল কৌতূহল ও আগ্রহর সৃষ্টি হয়। ছাত্রাবস্থাতেই তিনি একটি ইলেকট্রিক ডায়নামোর মডেল প্রস্তুত করেছিলেন। এই সময় এই মজার ঘটনায় অধ্যাপক আয়ারকে তার ছেলের আবদার মেটাতে হয়েছিল। ঘটনাটি এইরূপ-ছেলেবেলায় সি. ভি. রমন একবার এক কঠিন অসুখে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে—শরীরও বেশ কাহিল। ডাক্তার কবিরাজের নানান ওষুধেও তেমন কাজ হচ্ছে না, পরিবারের সকলেই বেশ চিন্তিত। শয্যাশায়ী অসুস্থ সি. ভি. রমন এই সময় তার অধ্যাপক বাবার কাছে এক অন্য ধরণের আবদার করলেন। দিনের পর দিন অসুস্থ হয়ে তার বিছানায় শুয়ে থাকতে ভালো লাগছে না। এই একঘেয়েমি কাটানোর জন্য তাঁর বাবা যদি কলেজ থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্র লিডেন জার এনে তাকে ওই যন্ত্রের কাজকর্ম সবকিছু বুঝিয়ে দেন তো ভালো হয়। অসুস্থ পুত্রের এই আবদার রাখতে অধ্যাপক বাবা কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কলেজ থেকে একটি লিডেন জার নিয়ে এলেন এবং তার ক্রিয়াকৌশলও অসুস্থ সি.ভি. রমনকে বুঝিয়ে দিলেন।








সি. ভি. রমন ১৯০০ খ্রীস্টাব্দে বিশাখাপত্তনমের হিন্দু হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯০২ খ্রীস্টাব্দে তিনি বিখাশাপত্তনমেরই হিন্দু কলেজ থেকে এফ. এ (ফার্স্ট আর্টস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি বি. এ পড়বার জন্য মাদ্রাজের প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়বার সময় তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এই সময় ভি. রমনকে অনেকে ছাত্র বলে গণ্যই করত না। এমনকি প্রেসিজেন্সী কলেজের তিনি মাদ্রাজের প্রচলিত পোশাক লুঙ্গি পরে কলেজ যেতেন বলে রোগা সি. অধ্যাপক এলিয়ট সাহেব তো একদিন ক্লাসে সন্দেহই প্রকাশ করে বসলেন যে সি. ভি. রমন সত্যি সত্যিই ওই কলেজের ছাত্র কিনা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করে বি. এ ডিগ্রী পান। তার দু বছর পরই স্নাতকোত্তর উপাধি লাভ করেন। পদার্থবিজ্ঞানে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক সহ এলফিনস্টোন মেডেল লাভ করেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে ইংল্যান্ডের ফিলজফিক্যাল ম্যাগাজিনে তাঁর প্রথম গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। ১৯০৭ খ্রীষ্টাব্দে তিনি ইন্ডিয়ান ফিনান্স ডিপার্টমেন্টের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে কলকাতায় অ্যাসিসট্যান্ট একাউনটেন্ট জেনারেল পদে নিযুক্ত হন। কলকাতায় তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দি কালটিভেশন অফ সায়েন্স গবেষণাকেন্দ্রে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা শুরু করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় সি. ভি. রমনের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক পদে আহ্বান জানান । সি. ভি. রমন ১৯১৭ খ্রীস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদে যোগদান করেন ও গবেষণা শুরু করেন। ১৯১৯ খ্রীস্টাব্দে তিনি কলকাতার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দি কালটিভেশন অফ সায়েন্সের সেক্রেটারী নির্বাচিত হন। ১৯২৮ খ্রীস্টাব্দে 'রমন এফেক্ট' নামে এক যুগান্তকারী তত্ত্ব আবিষ্কার করেন এবং এই আবিষ্কারের ফলে তিনি ১৯৩০ খ্রীস্টাব্দে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এরপর তিনি ব্যাঙ্গালোরে চলে যান এবং সেখানে 'রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট' নামে এক গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭০ খ্রীস্টাব্দে এই প্রতিভাবান বিজ্ঞানীর জীবনাবসান হয়।

সে উন্নতমানের ডাক্তার না হয়ে বড়োজোর একজন তৃতীয় শ্রেণীর ডাক্তার হবে। কাজেই এডিনবার্গে দু বছর কাটিয়ে ডাক্তারী পড়া ছেড়ে দিলেন চার্লস ডারউইন। ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাবার তো চিন্তার শেষ নেই। চার্লসের বাবা তখন চার্লসকে ধর্ম শিক্ষার জন্য এক ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করে দিলেন। তাঁর বাবা চেয়েছিলেন চার্লস ভবিষ্যতে যেন একজন ধর্মযাজক হন। এই সময় চার্লস একদল তরুণ উদ্যমী যুবকদের নিয়ে গঠিত এক ক্লাবের সদস্য হয়ে গেলেন এবং পড়াশোনা বাদ দিয়ে তিনি খেলাধুলো ও অন্যান্য কাজে বেশী করে সময় কাটাতে লাগলেন। এই ক্লাবের সদস্যরা আবার বিভিন্ন ধরণের গাছপালা, প্রাণী প্রভৃতি পর্যবেক্ষণের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযানে যেতেন। এই সব অভিযানের ফলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবার এক নেশা ধরে চার্লস ডারউইনের মনে। এরই ফলস্বরূপ ১৮৩১ খ্রীস্টাব্দে চার্লস ডারউইন তার বাবার অনুমতি নিয়ে ‘বীগল' জাহাজে পৃথিবী ভ্রমণে বের হলেন। তাঁর এই ভ্রমণের উদ্দেশ্য ছিল প্রাণীতত্ত্ব বিষয়ক নানা তথ্য ও খবরাখবর সংগ্রহ করা। এই সময় চার্লস ডারউইন দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে গ্যালাপাস দ্বীপ এবং ম্যাগেলান দ্বীপপুঞ্জ ভ্রমণ করেন এবং সেখানে নানান নমুনা সংগ্রহ করে তিনি প্রাণীতত্ত্ব বিষয়ে এক আশ্চর্য ও নতুন অভিজ্ঞতা লাভ করেন। পরবর্তীকালেও তিনি পৃথিবীর নানান দেশ ভ্রমণ করে এবং নানা তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করে বিবর্তন বিষয়ক মতবাদ আবিষ্কার করেন। তাঁর লেখা বিখ্যাত বই হল “অরিজিন অফ স্পেসিস।” ১৮৮২ খ্রীস্টাব্দে এই মহান বিজ্ঞানীর মৃত্যু হয়।


Post a Comment

0 Comments