গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম




গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম

মহাভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ চরিত্র হলেন পিতামহ ভীষ্ম। তাঁর আসল নাম দেবব্রত। তাঁর জীবন যেমন ব্যতিক্রমী কর্মকাণ্ডে পরিপূর্ণ; তেমনি তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং আদর্শ আমাদের সকলকে বিস্মিত করে। তিনি হলেন ত্যাগ এবং সততার যথার্থ প্রতিভূ। তাঁর বাহুবল এবং রণনৈপুণ্য তাঁকে শ্রেষ্ঠ বীরের শিরোপা দিলেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ, নীতি-নিষ্ঠ, জিতেন্দ্রিয় এবং যথার্থ যোগী-পুরুষ।

এরকম প্রতিভাধর একজন বীর পুরুষের জীবন ছিল শুরু থেকেই বিপর্যয়ে ভরা। পূর্বজন্মে তিনি ছিলেন অষ্টবসুর একজন। পাণ্ডব এবং কৌরব উভয় পক্ষেরই তিনি ছিলেন পিতামহ। তিনি আজীবন উভয়ের মধ্যে সখ্যতা ও সম্পর্ক নিবিড় করতে তৎপর ছিলেন। কিন্তু বিধির বিধান ছিল অন্যরকম। যৌবনের শুরুতেই তিনি পিতাকে কথা দিয়েছিলেন যে, তিনি রাজ আনুগত্যে অবিচল থাকবেন। যে কারণে কৌরবদের শত অন্যায় ও অবিচারকে মুখ বুজে সহ্য করতে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু পাণ্ডবদের প্রতি তাঁর নৈতিক সমর্থন সব সময় ছিল। মহাভারতের যুদ্ধে তিনি যুদ্ধের শুরু থেকে প্রথম দশ দিন (মোট আঠারো দিনের যুদ্ধ) পর্যন্ত কৌরব সেনাবাহিনীর সেনাপতি ছিলেন। কিন্তু তাঁর মন পড়েছিল পাণ্ডবদের প্রতি। তিনি ছিলেন মহাতপা, ধর্মপ্রাণ ৷ পাণ্ডবদের সাফল্য তিনি মনে প্রাণে চাইতেন।

যাইহোক, এমন বহু গুণে গুণান্বিত ভীষ্মের জন্ম কাহিনীটি ছিল খুবই আকর্ষণীয়, রূপকথার মতো। আলোচ্য গল্পে তারই প্রতিচ্ছবি তুলে ধরার প্রয়াস করা হয়েছে। মূল গল্পটি মহাভারতের আদি পর্বে, সাতানব্বইতম অধ্যায়ে উল্লিখিত আছে। এরপর জেনে নেওয়া যাক মূল গল্পটি।

ইক্ষ্বাকু বংশীয় (বৈবস্বত মনুর পুত্র ইক্ষাকুর বংশকে ইক্ষাকু বংশ বলা হয়। বৈবস্বত মনুর পিতা বিবস্বান সূর্যের নামে একে সূর্যবংশ ও বলা হয়। ব্রহ্মার পুত্র মরীচ। মরীচের পুত্র কাশ্যপ। কাশ্যপের পুত্র বিবস্বান সূর্য। তা থেকে বিবস্বান মনু। মতান্তরে এঁরা সাতজন ঋষি-অত্রি, বশিষ্ঠ, কশ্যপ, গৌতম, ভরদ্বাজ, বিশ্বামিত্র ও জমদগ্নি। ) রাজা  মহাভিষ একজন সত্যবাদী এবং ন্যায়পরায়ণ রাজা ছিলেন। তিনি স্বীয় কর্মফলে পরম সুখে রাজত্ব করছিলেন। একদিন দেবগণ কমলযোনি ব্রহ্মার স্তবগান করছিলেন। অনেক রাজা মহারাজাও সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এমন সময় দেবি গঙ্গা ব্রহ্মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সেখানে আসেন। হঠাৎ সেখানে তখন জোরে বাতাস বইতে শুরু করলো। তাতে দেবি গঙ্গার অঙ্গবস্তু উড়তে লাগলো। তা দেখে অন্য সকলে মুখ নিচু করে দৃশ্যটি না দেখার চেষ্টা করলেও রাজা মহাভিষ নিঃসঙ্কোচে গঙ্গা দেবিকে দেখছিলেন। পরম পিতা ব্রহ্মা কিন্তু মহাভিষের এই আচরণে অসন্তুষ্ট হলেন এবং মহাভিষকে ডেকে বললেন— “তুমি দেবলোকের উপযুক্ত নও, তাই মর্ত্যলোকে গিয়ে জন্মগ্রহণ করো। তা করলে তুমি পুনরায় স্বর্গলাভ করবে।”

মহাভিষ এমন দণ্ড পেয়ে চিন্তা করতে লাগলেন, মর্ত্যলোকে কার গৃহে জন্মগ্রহণ করবেন ? অনেক রাজা বা মুনি-ঋষির কথা চিন্তা করতে করতে তিনি ঠিক করলেন রাজা প্রতীপের পুত্র হয়ে জন্মগ্রহণ করবেন। অন্যদিকে দেবি গঙ্গা মহাভিষের এমন বিমর্ষ ও চিন্তাগ্রস্ত অবস্থাটি ভাবতে ভাবতে ফিরছিলেন। পথে হঠাৎ দেখলেন, বসুদেবগণ অর্ধচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। তা দেখে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন— “তোমাদের এমন দুরবস্থার কারণ কী ?”

তাঁরা উত্তরে বললেন— “দেবি! আমরা সামান্য অপরাধে ভগবান বশিষ্ঠের দ্বারা অভিশাপগ্রস্ত হয়েছি। এখন ভাবছি কোন্ মানুষীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করবো ?”

দেবি গঙ্গা আবার জিজ্ঞাসা করলেন— “মর্ত্যে কোন্ রাজার সন্তান হয়ে তোমরা জন্মাতে চাও ? এরকম কি কিছু ভেবেছো ?”

বসুদেবগণ বললেন- “আমরা রাজা প্রতীপের সন্তান শান্তনুর পুত্র হয়ে জন্মগ্রহণ করার কথা ভাবছি।”

দেবি গঙ্গা বললেন- “তোমরা যা ভাবছো, আমার ভাবনাও ঠিক তেমনি। তোমাদের ইচ্ছাটি আমার দ্বারা পূর্ণ হতে চলেছে।”

বসুগণ পুনরায় বললেন- “হে দেবি, আমরা আপনার কথায় খুশি হয়েছি। তবে আমাদের অনুরোধ, জন্মানোর সঙ্গে সঙ্গে আপনি আমাদের জলে ফেলে দেবেন। আমরা মর্ত্যলোকের যন্ত্রণা সহ্য করতে পারব না।”

দেবি গঙ্গা বললেন- “তোমার যেমন বললে তেমনটি হবে। তবে রাজার একজন পুত্র যাতে জীবিত থাকে তার জন্য একটি উপায় স্থির করো।” এই বলে দেবি গঙ্গা অন্তর্হিতা হলেন।

পুরুবংশীয় রাজা প্রতীপ তাঁর সহধর্মিণীর সঙ্গে গঙ্গা তীরে তপস্যায় রত ছিলেন। দেবি গঙ্গা এক পরমা সুন্দরীর বেশে তখন রাজার সামনে এলেন। কুশল বিনিময় এবং প্রাথমিক কিছু কথাবার্তার পর রাজা দেবিকে প্রস্তাব দিলেন যে, তিনি যেন তাঁর ভাবী পুত্রের মাতা হন। দেবি গঙ্গে এই প্রস্তাবে সম্মতি জানালেন। তা শুনে রাজা প্রতীপ এবং তাঁর স্ত্রী কঠোর তপস্যা শুরু করলেন। এরপর সময়ের ব্যবধানে অভিশাপগ্রস্ত রাজা মহাভিষ পুত্র রূপে রাজা প্রতীপের গৃহে জন্ম নিলেন। বলাবাহুল্য, রাজা প্রতীপ তখন বৃদ্ধ ছিলেন। সেই অবস্থায় তিনি সন্তান লাভ করেছিলেন বলে নবজাতকের নাম রাখা হয়েছিল ‘শান্তনু'।

শান্তনু বড় হলে রাজা প্রতীপ তাঁকে একদিন বললেন- “এক দিব্য রমনী সন্তান কামনায় তোমার জীবনসঙ্গী হবেন। তুমি তাঁর সকল ইচ্ছা কোনো প্রশ্ন না করে মেনে নেবে। এই বলে পুত্রকে রাজসিংহাসনে বসিয়ে রাজা তখনই বাণপ্রস্থে গমন করলেন।”

এরপর রাজা শান্তনু একদিন শিকার করতে গিয়ে গঙ্গাতীরে এসে উপস্থিত হলেন। তখন হঠাৎ এক দিব্য রমণীকে তিনি দেখতে পেলেন। তাঁর রূপ ও গুণে মুগ্ধ হয়ে রাজার মনে প্রেমের উদয় হলো। রাজা তখনই সেই রমণীকে পত্নী রূপে পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন।

উত্তরে সেই নারী বললেন- “হে রাজন! আপনাকে পতিরূপে স্বীকার করতে আমি রাজি, কিন্তু আমার একটি শর্ত আছে। আমি আমার খুশিমত যা করবো আপনি তাতে বাধা দেবেন না। যদি আমার কাজে আপনি কোন প্রশ্ন করেন, আমি তৎক্ষণাৎ আপনাকে ছেড়ে চলে যাব।”

রাজা শান্তনু দেবি গঙ্গার কথা মেনে নিলেন এবং তাঁরা বিয়ে করলেন। রাজা শান্তনু দেবি গঙ্গার রূপ, গুণ, সদাচার, উদারতা প্রভৃতি সদ্‌গুণে এতখানি বিমুগ্ধ ছিলেন যে, দেবি গঙ্গা কী করছেন, না করছেন এগুলি নিয়ে তিনি চিন্তাভাবনার চেষ্টা করেন নি। ইতিমধ্যে একে একে তাঁদের সাতটি পুত্র জন্মগ্রহণ করেছে; এবং দেবি গঙ্গা সন্তানগুলিকে একে একে গঙ্গায় বিসর্জন দিয়েছেন এই বলে- “আমি তোমার প্রসন্নতার কাজ করছি।” কিন্তু রাজা শান্তনু প্রাক-বিবাহের শর্ত মেনে দেবির এই কাজের কোনো প্রতিবাদ করেন নি। সাত পুত্র এভাবে গঙ্গায় বিসর্জিত হলে অষ্টম পুত্র যখন জন্মালো তখন রাজা এই পুত্রের সম্ভাব্য পরিণতির কথা ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়লেন।

শেষে গঙ্গা দেবিকে বললেন, “এই পুত্রটি থাক। একে বিসর্জন দিও না। তুমি বারবার এভাবে সন্তানদের কেন বিসর্জন দিচ্ছো ? এ তো মহাপাপ!”

দেবি গঙ্গা বললেন— “হে পুত্রাভিলাষী রাজা। তোমার এই প্রিয় পুত্রটি আমি গঙ্গায় বিসর্জন দিচ্ছি না। তবে শর্ত অনুযায়ী আমি আর তোমার কাছে থাকছি না। আমি দেবি জাহ্নবী। দেবতাদের নির্দেশ অনুসারে মর্ত্যলোকে মানুষ হয়ে জন্মেছি। আমার এই আটজন পুত্র হলো ‘অষ্টবসু’। ঋষি বশিষ্ঠের অভিশাপে এদের জন্ম হয়েছিল। বসুদের পিতা হওয়ায় তুমি অক্ষয় ধাম লাভ করবে।”

রাজা শান্তনু জিজ্ঞাসা করলেন— “কে এই বশিষ্ঠ ঋষি ? তিনি কেন এমন অভিশাপ দিয়েছিলেন ? এই শিশুটি কেনই-বা পৃথিবীতে থাকবে ?”

দেবি জাহ্নবী উত্তরে বললেন— “ঋষি বশিষ্ঠ বরুণের পুত্র। মেরু পর্বত সন্নিকটে তাঁর আশ্রম ছিল। সেখানে কামধেনুর কন্যা নন্দিনী, ঋষিকে যজ্ঞের হবিষ্য প্রদানের জন্য ছিল। একদিন পৃথু সহ বসুগণ তাঁদের পত্নীদের নিয়ে সেই বনে এলেন। এক বসুপত্নী নন্দিনীকে দেখে তাঁর স্বামীকে বললেন— “প্রিয়তম! এই সর্বকামনা-পূরণকারী গাভীটি আমাকে হরণ করে দিন। আমি আমার সখিকে এটি উপহার দিতে চাই ।”

পত্নীর কথায় অন্যতম বসু দ্যৌ তাঁর ভাইদের সঙ্গে নিয়ে গাভীটি চুরি করলেন । তখন তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন যে, গাভীটি বশিষ্ঠ মুনির। এবং ঋষি বশিষ্ঠ একজন ব্রহ্মবিদ, অত্যন্ত তেজস্বী পুরুষ।

মহর্ষি বশিষ্ঠ পরে আশ্রমে এসে দেখেন যে, নন্দিনী নেই। তিনি অনেক খোঁজাখুজির পরও নন্দিনীর সন্ধান না পেয়ে দিব্যদৃষ্টিতে ঘটনাটির কারণ জানার চেষ্টা করলেন। যখন বুঝলেন যে, বসু'রা তাঁর প্রিয় গাভীটি হরণ করে নিয়ে গেছেন, তখন কালবিলম্ব না করে তিনি বসুদের অভিশাপ দিয়ে বললেন— “বসুগণ সকলে মনুষ্যরূপে জন্মগ্রহণ করবে।”

বসুরা যখন জানলেন যে, তাঁরা ঋষি বশিষ্ঠ দ্বারা অভিশাপগ্রস্ত হয়েছেন। তখন তাঁরা ঋষির প্রসন্নতা লাভের আশায় ছুটে এলেন। অনেক অনুরোধ করার পর ঋষি বশিষ্ঠ তাঁদের প্রতি কিঞ্চিৎ সদয় হলেন এবং বললেন- “অন্য সব বসুরা স্বল্প সময়ের মধ্যে মর্ত্যলোক থেকে ফিরে আসবে, কিন্তু দ্যৌকে তার কর্মফল ভোগ করার জন্য দীর্ঘকাল মর্ত্যে থাকতে হবে। কারণ দ্যৌ আমার গাভীটি চুরি করেছে। আমার মুখ- নিঃসৃত বাক্য কখনো অন্যথা হবে না। এই বসুর মর্ত্যে কোন সন্তান হবে না। নিজ পিতাকে খুশি রাখার জন্য তার কোন স্ত্রীলাভ হবে না।”

দেবি গঙ্গে বললেন- “সকল বসুরা একে একে তাদের কর্মফল অনুযায়ী স্বল্পকাল মর্ত্যলোকে কাটিয়ে স্বর্গে চলে গিয়েছেন। শুধু থেকে গেলেন দ্যৌ; তাঁকে বহুকাল এই পৃথিবীতে থাকতে হবে।”-এই বলে শিশুটিকে নিয়ে দেবি গঙ্গা সেই মুহূর্তে অন্তর্ধান করলেন।

রাজা শান্তনু প্রকৃত অর্থে ছিলেন একজন পরম ধার্মিক, সত্যনিষ্ঠ, উদার এবং প্রজাবৎসল রাজপুরুষ। তিনি ছিলেন সুপণ্ডিত। ধর্মনীতি, সমাজনীতি এবং অর্থনীতিতেও তাঁর অগাধ ব্যুৎপত্তি ছিল। তাঁর সুশাসনে প্রজারা নিশ্চিন্তে দিনাতিপাত করতে পারতো। তাঁর রাজধানী ছিল হস্তিনাপুর। সেখান থেকে তিনি সমগ্র রাজ্য শাসন করতেন । রাজা শান্তনু দীন-দরিদ্র, অনাথ-দুঃখী, পশু-পাখি সকলকে রক্ষা করতেন। তাঁর সময়ে সকলে সত্যাশ্রয়ী ছিল। রাজা স্বয়ং পূর্ণ ব্রহ্মচর্য পালনের সাথে সাথে বনবাসীর মতো অতি সাধারণভাবে জীবন যাপন করতেন।

একদিন রাজা শান্তনু গঙ্গার তীরে ভ্রমণ করছিলেন। তিনি হঠাৎ লক্ষ্য করলেন নদী সেদিন কেমন যেন ক্ষীণস্রোতা। কারণ অনুসন্ধানের জন্য রাজা তখন নদীর খুব কাছে এগিয়ে গেলেন। দেখলেন, এক দীর্ঘদেহী যুবক সেখানে অস্ত্রচালনা অভ্যাস করছেন। আর একটি বাণ প্রয়োগ করে গঙ্গার ধারাকে রুদ্ধ করে রেখেছেন। যুবকের এই অলৌকিক কৃতিত্ব প্রদর্শনে শান্তনু চমৎকৃত হলেন। নিজের সন্তানকে দেখেছিলেন সেই কবে, জন্মের সময়। তারপর কেটে গেছে বহুদিন। সেই সন্তানের কথা আজ হঠাৎ তাঁর মনে পড়লেও তাকে চিনতে পারবেন কি করে ? এদিকে যুবকটিকেও আর দেখতে পাচ্ছেন না রাজা। তখন তিনি দেবি গঙ্গাকে স্মরণ করলেন। বললেন- “আমার পুত্র কে দেখাও ?”

সঙ্গে সঙ্গে সেই কুমারের হাত ধরে আবির্ভূতা হলেন দেবি গঙ্গা। বললেন- “মহারাজ! এই কুমার আপনার অষ্টম সন্তান। আপনি একে গ্রহণ করুন।” আপনার এই পুত্র ঋষি বশিষ্ঠের কাছে বেদ অধ্যয়ন করেছে। অস্ত্রশিক্ষাও সম্পূর্ণ করেছে। দৈত্যগুরু শুক্রাচার্য এবং দেবগুরু বৃহস্পতির জ্ঞানের সঙ্গে এর জ্ঞান তুলনীয় । স্বয়ং ভগবান পরশুরামের যে অস্ত্রজ্ঞান আছে; আপনার পুত্রের শস্ত্রজ্ঞান তার সমকক্ষ । এই ধর্মনিপুণ, শস্ত্র-নিপুণ, কর্মবীর পুত্রকে আপনার হাতে তুলে দিলাম। আপনি একে রাজধানীতে নিয়ে যান ।

দেবি গঙ্গার কথা মতো রাজা শান্তনু দেবব্রতকে রাজধানীতে নিয়ে এলেন। তাঁকে শীঘ্র যুবরাজ পদে অভিষিক্ত করলেন। এভাবে মর্ত্যলোকে পরিচিত হলেন গঙ্গা-পুত্র দেবব্রত, পরবর্তীকালে গঙ্গাপুত্র ভীষ্ম।


Post a Comment

0 Comments