আদিবাসী সংস্কৃতির অন্তনির্হিত সঙ্কট


আদিবাসী সংস্কৃতির অন্তনির্হিত সঙ্কট



সম্ভবতঃ ভারত-ই একমাত্র দেশ যেখানে বহু জাতি, বহু ভাষা, বহু ধর্ম এবং সংস্কৃতির পরিচয় মেলে। জীবন চর্যাতেও বৈচিত্র্যের অন্ত নেই। তবু ভারতীয়দের পরিচয়, সে ভারতবাসী।

এই বৈচিত্র্যময় দেশে প্রতিটি জাতির যেমন ভিন্ন সাহিত্য ও সংস্কৃতি রয়েছে তেমনি আদিবাসীদেরও ভিন্ন সাহিত্য ও সংস্কৃতি রয়েছে। সংস্কৃতি ছাড়া একটি জাতির অস্তিত্ত্ব থাকতে পারে না। সংস্কৃতি বলতে বোঝায় কোন একটি জাতির আচার-ব্যবহার, রীতি-নীতি, ধরম-করম, পূজা-পার্বন, নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়া, ঔষধ-পথ্য, পোষাক-পরিচ্ছদ, ভাষা-ব্যবহার ইত্যাদি।

আফ্রিকা মহাদেশের পরেই বোধ হয় ভারতবর্ষে সবচেয়ে আদিবাসী জনগণ বসবাস করেন। আদিবাসী বলতে এমন জনগোষ্ঠীকে বোঝায় যাঁদের জটিলতা নেই, পরস্পরের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদান করেন একই ভাষায়, সামাজিক নিয়ম-কানুন দেখ ভালের জন্য নিজস্ব পঞ্চায়েত ব্যবস্থা আছে, সাংস্কৃতিক সাদৃশ্য আছে এবং নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাস করেন। এছাড়া তাঁদের মধ্যে যে গুণ লক্ষ্য করা যায় তা হ’ল গোষ্ঠীবদ্ধ ভাবে সংগ্রাম করা।

আমাদের দেশে প্রায় ৩৫০টি সম্প্রদায়কে “শিডিউল ট্রাইব” হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ছয় শতাংশ আদিবাসী। ভারতের বাইরেও নেপাল, বাংলাদেশ, ভুটান ও মরিশাসে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর খোঁজ পাওয়া যায়। ঐ সব রাষ্ট্রে অথবা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে কি ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন তা বলা মুশকিল হলেও একথা বলা যায়—জীবিকার সন্ধানে তাঁদের চলে যেতে হয় নানা স্থানে। ১৮৯৪-এর অরণ্য আইনে কেড়ে নেওয়া হয় তাঁদের অরণ্যের অধিকার। ১৮৭৩-এর চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত আঘাত হানে আদিবাসী রায়তদের জীবনে। জমি আর অরণ্য এই দুটোর অধিকার হারিয়ে আদিবাসীরা পরিণত হয় ক্ষেতমজুর আর শ্রমিকে। আদিবাসীরা হতে থাকে শোষিত, নিপীড়িত এবং বিতাড়িত । আর্থ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। বাধ্য হয়েই পেটের তাগিদে নানা স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। ফলে যে রাষ্ট্র বা প্রদেশে বসবাস করছেন, সেখানেই তাঁরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন এবং তাঁদের সংস্কৃতির উপর প্রাদেশিক সংস্কৃতির প্রভাব পড়তে থাকে। যেমন পশ্চিম বাংলায় বাংলা সংস্কৃতির প্রভাব পড়েছে। উড়িষ্যাতে উড়িয়া সংস্কৃতি, বিহার বা ঝাড়খণ্ডে হিন্দি সংস্কৃতি, অসমে অসমীয়া সংস্কৃতি ইত্যাদি। তেমনি আবার আঞ্চলিক উন্নত সংস্কৃতির সান্নিধ্যের ফলে মূল বাসিন্দারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন। সিকিম ও দার্জিলিং এলাকায় লেপচা, ভুটিয়া, মেচ এবং জলপাইগুড়ির টোটোরা নেপালীদের তুলনায় সর্ব অর্থে কোণঠাসা। বিরহড়, লোধাশবব, দেশয়ালী, মাঝি, ওরাং সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিজেদের ভাষা সংস্কৃতি প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন। সিংভূমের হো, মুন্ডামানকি নিজেদের সংস্কৃতির কিছুটা ধরে রাখতে পেরেছেন। ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীর আশে পাশের আদিবাসীরা সারি (সংমিশ্রিত) ভাষায় কথা বলেন।

‘অষ্ট্রো এশিয়াটিক’ গোষ্ঠীর মধ্যে সাঁওতাল সম্প্রদায়ই সংখ্যা গরিষ্ঠ। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানসিক সুসংবদ্ধতার মাপকাঠিতে তাঁরাই শীর্ষ স্থান অধিকার করে আছেন। এঁদের ভাষা ও সংস্কৃতি নদীর স্রোতের মতো। ইদানিং অন্য সংস্কৃতির স্রোতে গা ভাসালেও নিজেদের সংস্কৃতি সম্বন্ধে সচেতন। তাঁদের পূর্ব পুরুষেরা লেখাপড়া জানতেন না কিন্তু তাঁদের ভাষা সংস্কৃতি লোকমুখে প্রচারিত হতে হতে টিকে রয়েছে। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মধ্যে যখন শিক্ষার প্রসার আস্তে আস্তে বাড়তে লাগল তখন চাকরি সূত্রে তাঁর শহরমুখী হয়ে পড়লেন অনেকেই আবার স্থায়ীভাবে বসবাসও করছেন। যাঁরা শহরে রয়েছেন তাঁদের ছেলেমেয়েরা সাঁওতালী শেখা, সাঁওতালী সংস্কৃতি থেকে দূরে থাকছে বা তাদের দূরে রাখা হচ্ছে পরিবেশগত কারণে। প্রাদেশিক ভাষাই তাদের কাছে মাতৃভাষার মত। সুতরাং এ সব সন্তান-সন্ততিরা বড় হয়ে ভাষা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে কতটা সহায়ক হবে তা নিয়ে সংশয় থেকে যায়।

সাঁওতাল সমাজের সঙ্গে অপরিচিত থাকার জন্য Intercaste Marriage এর প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। সাঁওতাল সমাজেও পণপ্রথা'র কথা শোনা যাচ্ছে, যা কোনদিন ছিল না। নগদমূল্য লেনদেনের কথা জানা না গেলেও টি.ভি. ডিভাল্ড, মোটর-সাইকেল ইত্যাদির লেনদেন ইতিমধ্যে ঢুকে পড়ছে। এর বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়ালে ব্যাপকভাবে পণপ্রথা প্রসার লাভ করবে এবং সমগ্র আদিবাসী সমাজ বিপন্ন হবে।

অপরদিকে পল্লীগ্রামে বসবাসকারী আদিবাসী যাঁরা দিন আনা দিন খাওয়া তাঁরাও শহুরে সংস্কৃতি অনুকরণ করার চেষ্টা করে চলেছেন। বিশেষত নতুন প্রজন্মের যুবক যুবতীদের বাহা, কারাম, দাঁশায়, সহরায় ইত্যাদি আদি সাংস্কৃতিক নাচ-গানের প্রতি অনীহা দেখা দিচ্ছে। পরিবর্তে হিন্দি, বাংলা সিনেমার নাচ-গানের প্রতি ঝোঁকের প্রবণতা বেশী দেখা দিচ্ছে। আসলে, বিভিন্ন লোকের সঙ্গে, সমাজের সঙ্গে যতই যোগাযোগ বাড়তে থাকে ততই আদিবাসী চিন্তা ভাবনা বিলুপ্তি হতে থাকে।


ভাষা ভিত্তিক রাজ্য গঠিত হলেও প্রয়োজনের তাগিদে এবং জীবিকার প্রয়োজনে মানুষ আর শুধু মাতৃভাষার আওতায় আবদ্ধ থাকতে পারেন না। পাশাপাশি বসবাস করার ফলে ও ব্যাপক যোগাযোগের সুবাদে একটি ভাষা শুধুমাত্র অন্য ভাষার শব্দই গ্রহণ করছে না। নিজস্ব ভাষার কাঠামোতেও পরিবর্তন আসছে। ফলে যে সব এলাকায় আদিবাসী জনগোষ্ঠী বসবাস করছেন সেখানে দুটো ভাষা প্রচলিত। এক, সেই রাজ্যের স্বীকৃত ভাষা; দুই, নিজস্ব মাতৃভাষা। রাজ্যের স্বীকৃত ভাষার প্রসারতা স্বাভাবিক ভাবে শাখা প্রশাখা ভাষাকে গ্রাস করে।

এই পটভূমিতে মূল ও সংখ্যাগরিষ্ঠ আদিবাসী সাঁওতাল সংস্কৃতির কিছু দিক নিয়ে আলোচনা করা হলেও সমগ্র আদিবাসী সমাজের সংস্কৃতি সভ্যতা খুবই প্রচীন, উর্বর ও অনেক উন্নত। এ নিয়ে বিতর্কের কোন অবকাশ নেই। তাঁরা দৃঢ় ঐক্য বন্ধনে সুসংবদ্ধ। তাঁদের সামাজিক রীতিনীতি এবং সাংস্কৃতিক জীবন ধারাই ঐক্যবদ্ধ করতে সাহায্য করে। তাঁদের উৎপত্তির উপাখ্যান সকলের দ্বারাই স্বীকৃত এবং ঐ প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হো, মুন্ডা, ওরাং এবং অন্যান্য প্রতিবেশী আদিবাসীদের মধ্যে উপস্থিত যা কিনা, আঞ্চ লিক ঐক্য এবং সংহতির সহায়ক হয়েছে। তবু সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের কিছু দিক এখানে তুলে ধরলাম।

(১) পূজা পার্বন—সাঁওতালদের প্রধান দেবদেবী মারাং বুরু, জাহের এরা, মড়ে কো তুরুই কো, গোঁসাই এরা ইত্যাদি। সাঁওতালরা মুর্ত্তি পূজা করেন না। ভিতর ঘরে, বাস্তু জমিতে এবং কলাগাছের গোড়ায় দেবদেবীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন। কিন্তু ইদানিং কেউ কেউ মূর্তিপূজা করছেন। তাঁদের দাবী এক কালে নাকি মূৰ্ত্তি পূজা ছিল। এ বিষয়ে গবেষণার

প্রয়োজন রয়েছে।

(২) ধরম-করম— কোথাও কোথাও সাঁওতালদের ‘বেদিন' বলা হচ্ছে। ‘বে’ আর ‘দিন' এ দুই শব্দ নিয়ে বেদিন গঠিত। ‘বেদিন' শব্দের অর্থ যার কোন ধর্ম নেই। তাহলে কি সাঁওতালরা ধর্মহীন? সাঁওতালী লোককথায় আছে— ধরম ধরম ইঞ রড়া/এড়ে কাথা তিস হুঁ বীঞ রড়া। অর্থাৎ “আমি ধর্মের কথা বলব/অধর্ম বললে ভগবান দেখবে। পাপ লাগবে। “সত্যের মধ্যেই আছে ধর্ম” সুতরাং সাঁওতালদের ধর্ম হচ্ছে সারি। অবশ্য ঝাড়খণ্ড ও উড়িষ্যার সাঁওতালরা 'সারণা ' লেখেন। যাই হোক, সারি এবং সারণার মধ্যে মিল আছে। তা সত্ত্বেও কিছু হিন্দু মৌলবাদী সাঁওতালদের হিন্দুকরণ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। অনেক যুক্তি তর্ক দেখিয়ে হিন্দু ধর্মের রস সিক্ত করাচ্ছেন। আসলে, সাঁওতালরা হিন্দু নয়। যাঁরা নিজেদের সংস্কৃতি সম্বন্ধে অবহিত নন তাঁরাই নিজেদের হিন্দু ভাবছেন। 

(৩) ভাষা প্রয়োগ —সাঁওতালীতে কথা আছে— 'হড় তে রড় লেখান গে পেডা’ অর্থাৎ যে সাঁওতালীতে কথা বলবে সেই আত্মীয়। কিন্তু আজকাল রাজনীতির পঙ্কিলতায় সাঁওতালী ভাষা-ভাষীদের মধ্যে বন্ধুত্বের ফাটল ধরতে শুরু করেছে। এ ছাড়া অন্য ভাষার অপরিচিত ব্যক্তি কিংবা কাউকে সম্মান জানাতে আপনি/আপনাদের যেমন সম্বোধন করা হয়। ঠিক তার অনুকরণেই সাঁওতালদের মধ্যে 'বিন/বেন' শব্দ ব্যবহৃত হচ্ছে। ‘আবিন/আবেন’ শব্দ বিশেষ সম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। একেক ব্যক্তিকে দ্বিবাচক শব্দে সম্বোধন যুক্তিযুক্ত নয়। ইংরেজী “You” শব্দের মত সাঁওতালী ‘আম’শব্দের ব্যবহার করা উচিৎ। অবশ্য এতেও অনেকের আপত্তি। কারণ ‘আম’ শব্দ ‘তুমি’ অর্থে ব্যবহৃত হয়। এতে নাকি সম্মানীয় ব্যক্তিকে অসম্মান জানানো হয়। কিন্তু ইংরেজী “You” শব্দের ব্যবহারে কেউ যদি অসম্মান বোধ না করেন, 'আম' শব্দের ব্যবহারেই বা আপত্তি কোথায়? যাই হোক এ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।

(৪) বিয়ে-সাদী – সাঁওতালরা বিয়েকে ঈশ্বরের জড়ানো শেকল মনে করেন। পূর্ব পুরুষের কথা অনুযায়ী জানা যায় সাঁওতাল সমাজে তেেেরা রকমের বিয়ে পদ্ধতি। যেমন— (১) দুওয়ার সিঁদুর বাপলা (২) সোলাইটি বাপলা (৩) টুংকি দিপিল বাপলা (৪) জাওয়ায় কিরিঞ বাপলা (৫) হিরম চেতান (৬) সাঁখা বাপলা (৭) অর আদের (৮) ঞির বলঃ (৯) ইপুতুৎ (১০) আপাং গির (১১) কুঁড়েল ঞাপাম (১২) খারদি জাঁওয়ায় বাপলা (১৩) খর বাপলা। তার মধ্যে দুওয়ার সিঁদুর' (উভয় পক্ষের পরিবারদের মধ্যে মত বিনিময় করে অনুষ্ঠানিক বিয়ে) এবং কুঁড়েল জ্ঞাপাম Love Marriage-এই দু'ধরণের বিয়ে বেশী প্রচলিত। আগে বিয়ের অনুষ্ঠান তিন চার দিন ধরে হত। খানা-পিনা, নাচ-গানের মধ্যে সবাই ডুবে থাকত। ইদানিং এক রাত্রির মধ্যেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এতে সুফল ও কুফল দুই-ই আছে। মদ, হাঁড়িয়া, সময় ও অর্থের অপব্যবহার যেমন কমেছে, তেমনি বিয়ের নীতি-নিয়মের কাট ছাঁট করা হয়েছে ফলে বিয়ের বিভিন্ন সময়ের গানের বৈশিষ্ট্য রীতি রেওয়াজ লুপ্ত হতে চলেছে।

(৫) খঁড বেনাও (আলপনা)—সাঁওতালদের প্রধান উৎসব সহরা (বাঁদনা) এ গোত্র অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন আলপনা করেন চালের পিটুলি গোলা দিয়ে। 'আখান যাত্তা'র দিনে গৃহপালিত গরুকে নিজ গোত্রের চিহ্ন দিয়ে চিহ্নিত করেন। এখন এ-সব লুপ্ত প্রায় ৷

(৬) শিকার— শিকার করা আদিবাসীদের জীবন যাত্রা তথা সংস্কৃতির অঙ্গ। প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে এখনও পর্যন্ত শিকার আদিবাসী জীবনে এক ঐতিহাসিক ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। পুরুষের পৌরুষত্ব শিকারে প্রমাণিত হতো। কিন্তু এখন বনজঙ্গলও নেই আর নিয়ম করে লোকে শিকারেও যায় না।

এ ছাড়া মাগ সিম, এরঃ সিম, জান্থাড় ইত্যাদি সংস্কৃতির অঙ্গ কিন্তু এগুলোর অস্তিত্ব ধীরে ধীরে লোপ পাচ্ছে। এ সব সঙ্কটকে সামনে রেখেই বর্ত্তমানে Identity 'র প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে মাঝে মধ্যে আন্দোলনও হয়—যা কিনা অনেকেই সাম্প্রদায়িক আন্দোলন বলে অভিহিত করেন, এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারনা। এই আন্দোলন মূলতঃ জাতিসত্ত্বা জিইয়ে রাখার আন্দোলন।

আশার কথা ইদানিং কিছু সংস্থা, ব্যক্তি অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। আদিবাসী সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতাও হচ্ছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সংস্কৃতি জিইয়ে রাখার উদ্দেশ্যে বছরে দুই-চার দিন আমোদ-প্রমোদ করে ভাষা সংস্কৃতিকে বিপন্ন করলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।


Post a Comment

0 Comments