বিশ্বমহামানব হজরত মহম্মদ(স:) পর্ব :02
✍✍✍✍✍✍✍✍✍✍✍
আব্দুল মুসরেফ খাঁন// পাশকুড়া
🌎🌎🌎🌎🌎🌎🌎🌎🌎🌎🌎
পবিত্র কোরআনের দ্বিতীয় আয়াতে বলা হয়েছে—ওঠো, লক্ষ্যভ্রষ্ট মানবকে সতর্ক করো, তোমার প্রভুর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করো। তোমার বহিরাবরণকে পবিত্র করো, অন্তরকে সমস্ত দেব-দেবী থেকে পবিত্র করো এবং তোমার প্রভুর বাণী প্রচারে ভয়-ভীতি, বাধা- বিঘ্ন অতিক্রমের ব্যাপারে ধৈর্য ধারণ করো।
গোপনে, অতি সন্তর্পণে হজরত মুহাম্মদ স. ধর্মপ্রচার তথা আল্লাহর একত্ব প্রচার শুরু করলেন। অতি অল্প দিনের মধ্যে তাঁর নিকটতমজন হজরত খাদিজা রা.. চাচাতো ভাই আলি, পুত্রবৎ জায়িদ, ধাত্রী উম্মে আয়মন ও বাল্যবন্ধু সচ্চরিত্র হিসাবে খ্যাত বস্ত্র ব্যবসায়ী হজরত আবু বকর রা. তাঁর হাতে হাত দিয়ে ইমান আনলেন। প্রথম ইসলামের কথা বাইরে প্রকাশের সৎ সাহস দেখান আবু বকর রা.। তিনি না আপনি আত্মীয় স্বজনের উপকার সাধন করেন, অভাবীদের অভাব দূর করেন। অতি অন্তরঙ্গদের মধ্যে আল্লাহ ও তার রাসুল স.-এর কথা প্রচার করতেন। গোপন উপার্জনে যারা অক্ষম তাদের উপার্জনে সাহায্য করেন। আপনি অতিথিদের আশ্রয় প্রচার তিন বৎসর চলল একে একে ৪০ জন মানুষ ইসলামের ছায়ায় এলেন।মুহাম্মদ স. দূর পর্বতে গিয়ে আল্লাহর ইবাদত করতেন – তা কুরায়িসরা ক্রমে জানতে পারল। এর মধ্যে উসমান, জুবায়ির, আবু উবাইদা প্রমুখ কুরায়িসদের রইস ব্যক্তি ইসলামের ছায়া তলে এসেছেন। এর পর এল প্রকাশ্য প্রচারের আদেশ- তোমার নিকটতম আত্মীয় স্বজনকে সতর্ক বার্তা শোনাও। (কুরআন ২৬ : 214) । এরপর তিনি তাঁর আত্মীয়দের ডেকে আল্লাহ্ ও ইসলামের কথা শোনালেন কিন্তু আবু লাহাবের জন্য ভালভাবে দাওয়াত পেশ করতে পারলেন না। দ্বিতীয় বারের চেষ্টাও ফলবতী হল না। এরপর অহি এল—তোমাকে যা আদেশ করা হয়েছে তা তাদের ভালভাবে শুনিয়ে দাও। হজরত মুহাম্মদ স. এবার সাফা পাহাড়ে আরোহণ করলেন এবং আরবের রীতি অনুযায়ী মক্কার মানুষকে পাহাড়ের পাদদেশে উপস্থিত হতে বললেন। সকলে 'আল আমিন' হজরত মুহাম্মদ স.-এর ডাক শুনে পড়ি কী মারি করৈ পাহাড়ের পাদদেশে উপস্থিত হলেন এবং সকলে হজরত মুহাম্মদ স-এর সত্যবাদীতার সাক্ষ্য দিলে হজরত মুহাম্মদ স. বললেন, যদি তোমরা আমাকে সত্যবাদী রূপে বিশ্বাস করো তা হলে শোনো, আমি তোমাদের আল্লাহ্র অবাধ্যতার জন্য অবধারিত কঠোর শাস্তির সতর্কবাণী শুনিয়ে দিচ্ছি। আমি আমার আত্মীয় স্বজনকে সাবধান করে দেওয়ার জন্য আদিষ্ট হয়েছি। তোমাদের ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ অসম্ভব, যদি না তোমরা 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্-তে বিশ্বাসী হও (আল্লাহ্ ছাড়া কোনও প্রভু নেই)।
—এই জন্য তুই আমাদের ডেকেছিস, এ কথা ব'লে আবু লাহাব হজরত মুহাম্মদ স-এর প্রতি পাথর নিক্ষেপ করল। এটাই প্রথম হজরত মুহাম্মদ স.-কে প্রত্যক্ষ শারীরিক আক্রমণ। এখানে প্রচারের চেষ্টা যেমন নিষ্ফল হল, তেমনই কুরায়িসরা হজরত মুহাম্মদ স. ও তাঁর অনুগামীদের উপর অত্যাচার শুরু ক'রে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করতে লাগল। অর্থ, নারী, ধন-সম্পদের লোভ দেখিয়ে আল্লাহ্র নাম প্রচারে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে লাগল। কিন্তু মুহাম্মদ স. কোনও চাপের কাছে, কোনও প্রলোভনের কাছে এতটুকু নতি স্বীকার করলেন না। তুলনাতীত ধৈর্যের সাঙ্গ সকল উৎপীড়নকে কায়মনোবাক্যে সহ্য ক'রে যেতে লাগলেন। বিরোধিতার নানা কারণের মধ্যে অন্যতম ছিল কা'বাকে কেন্দ্র করে যে পৌত্তলিকতার সৃষ্টি হয়েছিল কুরারিস বংশের কায়েমি স্বার্থ তাতে যুক্ত হয়ে পড়ে। এই পৌরোহিত্যের কারণে তারা আরবের সর্বত্র সম্মান পেত, এমন কী মক্কায় যেমন নিরাপদে বসবাস করত তেমনই মক্কার বাইরেও নিরাপত্তা ভোগ করত এবং বিশেষ বাণিজ্য-সুবিধা পেত। পৌত্তলিকতা ত্যাগ করলে তাদের এই সম্মান, সম্পদ . ও প্রতিপত্তিতে হাত পড়বে ও নষ্ট হয়ে যাবে ব'লে ভেবেছিল। আরও ভাবল মুহাম্মদ স. তাদের গোত্রের সংহতি নষ্ট করছে। সর্বোপরি পিতৃপুরুষের ধর্মের প্রতি বহুকালের আকর্ষণ ও অন্ধ বিশ্বাস তাদের মনে প্রবল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করল। ফলে তারা মুহাম্মদ স.-এর বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও কুপ্রচার চালাতে লাগল। হজরত মুহাম্মদ স. একদিন কা'বা প্রাঙ্গনে প্রচার চালাচ্ছিলেন। এ সময় কুরায়িস- নেতা কর্তৃক প্ররোচিত হয়ে কিছু কুরায়িস-দুষ্কৃতকারী মুহাম্মদ স. ও তাঁর দলবলকে আক্রমণ ক'রে হজরত খাদিজা রা.-এর পূর্ব-পক্ষের সন্তান হারিস ইবন আবি হালাকে তরবারি, বল্লমের আঘাতে হত্যা ক'রে ফেলে। ইনিই হজরত মুহাম্মদ স.-এর অনুগামীদের মধ্যে প্রথম শহিদ। কুরাসিরা মুহাম্মদ স.-এর নামে নানা অপবাদ দিতে শুরু করল। ইহুদিরা শিখিয়ে দিল, মুহাম্মদ স.-কে জিজ্ঞাসা করো, আসহাবে কাহাফ কারা? জুলকারনাইন কে? রুহ্ ও আত্মার স্বরূপ কী রকম। মুহাম্মদ স. উম্মি (নিরক্ষর) হলেও অহি মারফত এ সব প্রশ্নের জবাব দিলেন, বিলুপ্ত জাতির উত্থান পতনের ইতিহাস বর্ণনা করলেন। বিরোধীরা পূর্ববর্তীদের গালগল্প ব'লে এ গুলোকে উপহাস করতে লাগল । নানা অপপ্রচার অত্যাচার সত্ত্বেও নবী মুহাম্মদ স.-এর প্রচার থামল না। ফলে মুসলিমদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে লাগল। শত্রুরা চাচা আবু তালিবের উপর চাপ দিতে লাগল মুহাম্মদ স.-কে নিরস্ত হওয়ার জন্য। কিন্তু এতে কোনও ফল হল না। একবার দমে গেলেও ভাতিজা মুহাম্মদ স.-এর বিশ্বাসের জোর, দৃঢ়তা লক্ষ্য ক'রে তাঁর সহায়তায় অনড় থাকলেন। নব মুসলিমদের উপর অত্যাচারের রোলার চলল যথেচ্ছভাবে। প্রায় প্রত্যেকে তার অধিনস্থ ক্রীতদাস ও আত্মীয়দের উপর অত্যাচার করতে লাগল কিন্তু টলাতে পারল না। হজরত বিলাল, আম্মার ও তাঁর পিতা ইয়াসির এবং মা সুমাইয়া, খাবাব প্রমুখ সাহাবিদের উপর অমানুষিক নির্যাতন চলত। ইয়াসির ও সুমাইয়া তাঁদের পুত্র আম্মার রা.-এর চোখের সামনে প্রাণ হারালেন—তবু আম্মার ইসলাম ত্যাগ করলেন না। স্বয়ং উসমান রা. অতি সম্ভ্রান্ত ও সম্পদশালী হলেও চাচার হাতে সীমাহীন প্রহারে জর্জরিত হলেন। এক সময় কুরায়িসরা মুহাম্মদ স.-এর কাছে আপসের প্রস্তাব দিল। বলল, বোলো না আমাদের পথভ্রষ্ট, পূর্বপুরুষরা নরকবাসী হবে এমন কথা বলা থেকে নিবৃত্ত হও, বরং আমরা মক্কায় শান্তিতে বসবাস করি। এক বৎসর তুমি আমাদের উপাস্যের আরাধনা করবে, পরবর্তী বৎসর আমরা তোমার আল্লাহর আরাধনা করব। কিন্তু মুহাম্মদ স.-এর মুখ দিয়ে আল্লাহ্ ব'লে দিলেন, 'লা কুম দ্বীনুকুম অলিয়া দ্বীন'- তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য আমার ধর্ম আমার জন্য। এ কথায় তারা থমকে গেল। কিন্তু অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গেল। নব-মুসলিমরা কুরআন পাঠ করলে প্রহৃত হত। নিজ বাড়িতেও কেউ আওয়াজ ক'রে করআন পাঠ করতে পারত না। নামাজ পড়তে গেলে মুসলমানদের শাস্তি পেতে হত।শারীরিক অত্যাচারথেকে স্বয়ং মুহাম্মদ স. ও বাদ পড়তেন না। মুহাম্মদ স. বাধ্য হয়ে নগরীর এক প্রান্তে জনবিরল স্থানে অবস্থিত আরকামের বাড়িতে সাহাবিদের সঙ্গে মিলিত হতেন। হজরত মুহাম্মদ স. ৪৫ বৎসর বয়সে নব মুসলিমদের খ্রিস্টান বাদশাহ নাজ্জাসীর রাজ্য আবিসিনিয়ায় হিজরতে পাঠালেন, এটাই মুসলিমদের প্রথম হিজরত। এই রাজ্যের সঙ্গে আরবদের ভাল বাণিজ্য-সম্পর্ক ছিল। ন্যায় বিচারক নাজ্জাসী কুরায়িস দলকে তাঁর রাজা ত্যাগ করতে ও মুসলিমদের সে দেশে শান্তিতে বসবাস করতে বললেন। কুরায়িসদের কোনও উপহারও তিনি গ্রহণ করেননি। পরে নাজ্জাসী ইসলাম গ্রহণ করেন। নাজ্জাসীর মৃত্যু সংবাদে রসুল স. গায়েবি জানাজা পড়ে দিলেন।
এরপর কুরায়িস ক্রোধ চরমে পৌঁছাল। একদিন হজরত মুহাম্মদ স. সাফা পাহাড়ের কাছে ইবাদতে মগ্ন ছিলেন। আবু জেহেল ক্রোধে নানা রকম গালাগালি করতে করতে একটা পাথর ছুঁড়ে মেরে মুহাম্মদ স. এর মাথা ফাটিয়ে দিল। রক্তাক্ত অবস্থায় নবী স. বাড়ি ফিরলেন। এই ঘটনার কথা শুনে হজরত মুহাম্মদ স.-এর চাচা হামজা রা. আবু জেহেলকে প্রচণ্ড আঘাত করলেন এবং নিজে প্রকাশ্য ইসলাম গ্রহণের কথা ঘোষণা করলেন। হঠাৎ একদিন বীর উমর রা. ইসলাম গ্রহণের কথা ঘোষণা করলেন। কুরায়িসরা প্রমাদ গুনল। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি ঘরে ঘরে গিয়ে নিজ ইসলাম গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। উমর রা.-কেও নির্যাতন সহ্য করতে হয়। এ সব ঘটনা ঘটেছিল নবুয়তের ষষ্ঠ বর্ষে।
বনু হাসিম ও বনু আবদুল মুত্তালিবের সমর্থনে মুহাম্মদ স. কুরায়িস বংশকে দ্বিধাবিভক্ত করেছে কিন্তু তাঁকে হত্যা করা যাচ্ছে না। এই অসহ্য পরিস্থিতিতে কুরায়িসরা মুহাম্মদ স.-কে বয়কটের অঙ্গিকার পত্র কা'বার দেওয়ালে ঝুলিয়ে দিল। যত দিন না মুহাম্মদ স.-কে তাদের হাতে সোপর্দ করা হবে তত দিন নব মুসলিমদের সঙ্গে আলাপ, কুশল, সামাজিক ও অর্থনৈতিক লেনদেন ও বিয়ে-সাদি বন্ধ থাকবে। কেউ তাদের সাহায্য করলে তাদেরও বয়কট করা হবে। মুসলিমরা নগরে থাকা বিপজ্জনক ভেবে 'শেব এ আবু তালিব' গিরি গুহায় আশ্রয় নিল। কোনও অবস্থাতেই মুহাম্মদ স.-কে শত্রুদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা তারা ভাবতে পারেননি। নবুয়তের সপ্তম বর্ষে এ ঘটনা সংঘটিত হলে মুসলিমরা এমন সময় পেল না যাতে তারা খাদ্য, পোশাকাদি গুছিয়ে নিতে পারে। কুরায়িসদের কড়া পাহারার মধ্যে কিছু সহকর্মী অতি গোপনে কিছু কিছু খাদ্য জোগান দিত। কিন্তু তা পর্যাপ্ত ছিল না। সকলেই ক্ষুৎ-পিপাসায় কাতর হয়ে পড়লেন। শিশু সন্তানদের ক্রন্দন তাঁদের ব্যাকুল করে তুলল। কিন্তু কোনও পক্ষই সংকল্প চ্যুত হতে চাইল না। এভাবে টানা দু'বছর কেটে গেল। বহু পূর্ব থেকেই হজের সময় যুদ্ধ-বিগ্রহ বন্ধ থাকত। এই সময় হজরত মুহাম্মদ স. খিদের জ্বালায় পেটে পাথর বেঁধে গিরি সংকট থেকে বের হয়ে অতি সন্তর্পণে ইসলাম প্রচার করতেন। শত্রুরা দেখে তাঁকে ধাওয়া করত, পাগল, যাদুকর বলত, বিদ্রূপে অতিষ্ঠ করে তুলত, পাথরও নিক্ষেপ করত। মুহাম্মদ স. ধৈর্য ধরে এগুলো সহ্য করতেন। শিশু, নারীদের ক্রন্দন কয়েক জন মক্কাবাসীর মানসিক পরিবর্তন ঘটাল। সামাজিক বৈঠকে তারা এই নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলল। সমস্ত বাধা অতিক্রম ক'রে বিরুদ্ধবাদীদের একজন কা’বায় ঝুলানো কীটদ্রষ্ট চুক্তিপত্র প্রকাশ্যভাবে ছিঁড়ে ফেলে দিল। অপররা গিরিসংকটে গিয়ে অবরুদ্ধদের উদ্ধার করল। কথিত আছে, ক্ষুধার জ্বালায় অবরুদ্ধদের তাঁবুর চামড়া পর্যন্ত ভিজিয়ে খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করতে হয়। অবরোধ মুক্ত হওয়ার কয়েক মাস পরে হজরত খাদিজা রা. ৬৫ বৎসর বয়সে ইন্তেকাল করেন এবং এর এক মাস পরে হজরত মুহাম্মদ স.-এর অভিভাবক আবু তালিবও ইন্তেকাল করেন। এই দুই অতি নিকটতম জনের ইন্তেকালে মুহাম্মদ স. মুহ্যমান হয়ে পড়েন। এই বৎসরকে (৬২০ খ্রিস্টাব্দ) রসুল স.-এর জন্য দুঃখের বছর বলা হয়।
🖕🖕🖕🖕🖕🖕🖕🖕🖕🖕🖕
👉N:B:- লিঙ্কে স্পর্শ করে লেখাগুলো পড়ুন। যারা পড়তে ভালোবাসেন আমার প্রোফাইল লাইক শেয়ার করুন। আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।।লেখায় কমেন্ট -লাইক শেয়ার করে পরিশ্রমে উৎসাহী করুন 🚶🚶🏃🏃
✍✍✍✍✍✍✍✍✍✍✍
আব্দুল মুসরেফ খাঁন// পাঁশকুড়া
🌎🌎🌎🌎🌎🌎🌎🌎🌎🌎
পর্ব-01 পড়ুন👉✍
https://www.facebook.com/share/p/1ZmvN6RSva/
পর্ব-03 পড়ুন👉✍
https://www.facebook.com/share/p/1EqZWNPDqV/
পর্ব-04 পড়ুন👉✍
https://www.facebook.com/share/p/XyG8w5JCf8sxdJKR/
পর্ব-05 পড়ুন👉✍
https://www.facebook.com/share/p/BTyfwTh7vq5uLy69/
পর্ব-06 পড়ুন👉✍
https://www.facebook.com/share/p/SDS5WTVCWMvhGTXv/
পর্ব-07 পড়ুন👉✍
https://www.facebook.com/share/p/CV1uzrpEouykxr2j/
ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যা হজরত মহম্মদ (স:) কেন্দ্রীক : পড়ুন👉👉👉👉✍
https://www.facebook.com/share/p/NpkYrgpzzX6PdZpB/
বিশ্বমহামানব হজরত মহম্মদ(স:) সমাপ্ত পর্ব👉👉✍
https://www.facebook.com/share/p/18GrPPDpyz/
#ইসলাম #হজরতমহম্মদ #trend #color #cherry #اكسبلور #فلو #اصدقاء #أصدقاء #فيديوهات #ريلاكس #تصوير #ريلز #كومنت #explore #photoofthed
0 Comments