পতিব্রতের মাহাত্ম্য ও কৌশিক ব্রাহ্মণের গল্প

পতিব্রতের মাহাত্ম্য ও কৌশিক ব্রাহ্মণের গল্প


ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির মহাতেজা মার্কণ্ডেরকে জিজ্ঞাসা করলেন – “ হে ভগবান। আমি রমণীদের পতিব্রতের মাহাত্ম্য জানতে উৎসুক। শুনেছি পিতামাতার প্রতি সন্তানের সেবা-শুশ্রূষা এবং নারীদের তাঁর স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি, সেবা দান দুই-ই বেশ কঠিন কাজ। এদের মধ্যে পতিকে সেবা করা একটি কঠিনতর বিষয় বলে শুনেছি। একজন রমণী তাঁর স্বামীর প্রতি অটুট বিশ্বাস, সততা এবং মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে সারা জীবন সেবা পরায়ণ থাকেন। আবার দশ মাস সন্তান গর্ভে ধারণ করে দুঃসহ প্রসব বেদনা সহ্য করে সন্তানকে জন্ম দেন। এই সব কাজ মোটেই কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। কত লোকে নারীদের সম্বন্ধে নানান অকথা, কুকথা বলে তাদের ছোট করার চেষ্টা করে, কিন্তু কর্তব্যে অবিচল কোনো রমণী ঐ সব বিষয়ে কখনই কান দেন না।

মার্কন্ডেয় ঋষি বললেন- “ হে ভরতকুলনন্দন! অনেকে আছেন যাঁরা কেউ মাকে, কেউ আবার বাবাকে বড় বলে বিচার করেন। দেখ, মা কত কষ্ট করে সন্তানকে বড় করেন। আবার বাবা পুত্রলাভের আশায় দেবার্চনা, কৃচ্ছ্রসাধন সহ অন্যান্য কত দুঃখ কষ্ট করে সন্তান মুখ দেখতে পান। বাবা-মা ছেলের কাছ থেকে সাফল্য, যশ, প্রতিষ্ঠা, ঐশ্বর্য, ধর্মানুষ্ঠান ইত্যাদি আশা করেন। যে ব্যক্তি পিতামাতার আশা পূরণ করতে পারেন, তার ইহকাল ও পরকাল উভয়ই মঙ্গলের হয়। আবার দেখ, স্ত্রীলোক

শুধু মাত্র স্বামী সেবার দ্বারা স্বর্গলাভ করতে পারেন। স্ত্রীলোক যদি স্বামীর প্রতি স্থির কর্তব্য পালন না করেন তার দ্বারা সম্পাদিত অন্য কাজগুলি যতই বিধি সম্মত হোক না কেন- তাঁর সকল প্রচেষ্টাই বিফলে যায়। এবার আমি একজন পতিব্রতা রমণীর গল্প শোনাচ্ছি যা শুনলে বুঝতে পারবে নারীদের কাছে পতিসেবা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”


Post a Comment

0 Comments