E-Shram: ই-শ্রম
কার্ড করলেই প্রতি মাসে ৩০০০ টাকা করে পাবেন
ভারতবর্ষে
যত মানুষ সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র
মিলিয়ে সংগঠিত জায়গায় কাজ করেন তার থেকে বহুগুণ অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করে বেঁচে থাকেন। এই অসংগঠিত ক্ষেত্রে যারা কাজ করেন তাদের সাধারণত শ্রমিক বলে আমরা চিনে থাকি এদেশের চল্লিশ কোটির বেশি মানুষ প্রতিদিন অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করে থাকেন অথচ এই বিপুল সংখ্যক
মানুষের আর্থিক নিরাপত্তা বা ভবিষ্যৎ সঞ্চয়
বলে কিছু নেই।
কেন্দ্রীয়
সরকার সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত দেশের ২০ কোটি কোটি
মানুষ এই ই-শ্রম
কার্ডে নাম নথিভুক্ত করেছেন। এর মধ্যে ২
কোটি মানুষ এর অন্তর্ভুক্ত পরিষেবাগুলি
পেতে শুরু করেছেন। কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাকিদেরও খুব দ্রুত পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসা হবে।
৬০
বছর বয়সের পর বা বৃদ্ধ
হয়ে গেলে কিভাবে খাবেন সংসার চালাবেন কিছুই জানেন না এই অসংগঠিত
ক্ষেত্রে একদিন কাজে না গেলে বেতন
কাটা যায় এই বিপুল সংখ্যক
মানুষকে স্বস্তি দিতে ভারত সরকার নিয়ে এসেছে ই-শ্রম কার্ড
(E-Shram Card)।
ই-শ্রম কার্ডকে কেন এত গুরুত্ব দিচ্ছে
কেন্দ্র?
রেশন
কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডির সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক বাধ্যতামূলক করে কেন্দ্রীয় সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে ভারতবাসীর প্রধান পরিচয়পত্র হল আধার। ফলে
আধার কার্ড না থাকলে ব্যাঙ্কিং
ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সন্তানকে স্কুলে ভর্তি, পরীক্ষায় বসা, চাকরি পাওয়া সবকিছুই কঠিন হয়ে উঠবে।
এদিকে
কেন্দ্রীয় সরকার তাদের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুবিধে বিশেষত যেগুলি অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী ও সমাজের প্রান্তিক
মানুষদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে তার সুবিধে পৌঁছে দিতে বাধ্যতামূলক করতে চলেছে ই-শ্রম (e-Shram) কার্ডকে।
এই কার্ডে আপনার নাম নথিভুক্ত থাকলে তবেই PMAY, PMJAY, PM
Kisan সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা পাবেন।
ই
শ্রম কার্ডে আপনার নাম নথিভুক্ত থাকলে আপনি অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী হিসেবে অবসরের পর প্রতি মাসে ৩,০০০ টাকা
করে পেনশন পর্যন্ত পেতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন বিমা, আয়ুষ্মান ভারত, কৃষকদের সাহায্য ইত্যাদি পেতে গেলেও ই শ্রম কার্ডে
নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এর জন্য কেন্দ্রীয়
সরকার ই-শ্রম পোর্টাল
খুলেছে।
ই-শ্রম কার্ডের বিশেষ সুবিধা গুলো কী?
(1) ৬০ বছর
বয়সের পর প্রতি মাসে
৩,০০০ টাকা করে পেনশন পাবেন।
(2) কর্মরত অবস্থায়
কোনও কারণে পঙ্গু হয়ে গেলে বা অঙ্গহানি হলে
১ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য পাবেন।
(3) মারা গেলে
পরিবার ২ লক্ষ টাকা
আর্থিক সাহায্য পাবে।
কারা
ই-শ্রম কার্ডে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন?
(1) অসংগঠিত ক্ষেত্রে
কাজ করলে এবং মাসিক আয় আয়কর সীমার নিচে থাকলে তবে ই-শ্রম কার্ডে
নাম নথিভুক্ত করা যাবে।
(2) ১৬-৫৯
বছরের মধ্যে বয়স হলে তবেই ই-শ্রম কার্ডে
নাম নথিভুক্ত করা যাবে।
(3) যারা কর্মচারী
ভবিষ্যৎ নীধি (EPF) ও ESI সুবিধা পান না তাঁরা এই
প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
ই-শ্রম কার্ড করার জন্য যেসমস্ত কাগজপত্র লাগবে
(1) আধার কার্ড
(2) মোবাইল নম্বর
(3) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
ই-শ্রম কার্ডের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
বর্তমানে
আপনি বাড়িতে বসে সহজেই ই-শ্রম কার্ডে
নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন, এর জন্য আপনাকে- eshram.gov.in
পোর্টালে গিয়ে দরকারি সমস্ত তথ্য পূরন করতে হবে। অথবা আপনার নিকটবর্তী কোনো CSC সেন্টারে গিয়েও ই-শ্রম কার্ডের
জন্য আবেদন করতে পারেন।
0 Comments